শরীফুর রহমান আদিল

শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করার পর প্রথম থেকেই অভিলাষ ছিলো গতানুগতিক শিক্ষকদের মত না হয়ে ভিন্নধর্মী হওয়ার। শিক্ষকতা পেশাটিকে একটি অভিজাত, আইকনিক, এবং অতি সন্মানজনক পেশা হিসেবে রূপান্তরের চেষ্টা করেছি সবসময়। এ চেষ্টার মধ্যে লুকায়িত ছিলো নিজেকে সব বিষয়ে অনেক বেশী সমৃদ্ধ করা, দেশ- বিদেশে নিজের পরিচয় তুলে ধরা, সমাজে নিজের নৈতিক বলয় তৈরী করা, শিক্ষার্থীদের মধ্যে বহুমুখী প্রতিভা জাগ্রত করে বিশ^মানের এবং একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সক্ষম হিসেবে গড়ে তোলা, ছাত্র- শিক্ষকের মধ্যে পবিত্র সর্ম্পক অটুট রাখা, শিক্ষাকে আনন্দদায়ক , কৌশল ও কমসমযে পঠন- পাঠন এবং শিখনে অভ্যস্থ করা, দেশ- বিদেশেী শিক্ষক- শিক্ষার্থীদের সাথে শিক্ষা- সংস্কৃতি বিনিময়ের ব্যবস্থা করা, প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মধ্যদিয়ে আনন্দদায়ক ক্লাসে পরিণত করা, বিভিন্ন দিবসের সংক্ষিপ্ত তাৎপর্য ক্লাসে তুলে ধরা এবং এসব দিবসের শিক্ষা, সুস্থ সাংস্কুতিক ও কুইজ প্রতিযোগিতার মধ্যদিয়ে পড়া আদায় করে সবার মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব তৈরী করা, শিক্ষার্থীদের মনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা , নৈতিকতা- মূল্যবোধ তৈরী করা, কেবল সার্টিফিকেটের জন্য শিক্ষা না হয়ে জীবন ও সত্যিকারের মানুষ হওয়ার শিক্ষা প্রদান করেই গিয়েছি। শিক্ষিতদের মধ্যে নৈতিকতা – মূল্যবোধের অবক্ষয় দেখে সবসময় চেষ্টা করি কিভাবে পাঠ্যবইয়ের পড়া ১০-১৫ মিনিটে এবং সে পড়া ক্লাসে ৫ মিনিটে শিখিয়ে বাকী সময়গুলোকে নৈতিকতা- মূল্যবোধ তৈরী হয় এমন কাজ করার জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
 
উপরোক্ত বিষয়গুলো ক্লাসে পাঠদানের সাথে সাথে শিক্ষার্থীরা তা বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করছে কিনা এবং এসব পাঠের ফলে শিক্ষাথীসহ তার পরিবারে কি ধরনের পরিবর্তন এসেছে সে সব বিষয় পর্যালোচনা করে নিজস্ব উদ্যোগে প্রবর্তন করি Best Iconic student of the year, Best Ethical student, best Obedient student, etc একইভাবে, আমাদের শিক্ষার্থীরা এ প্রতিষ্ঠান থেকে বিদায় নেওয়ার পর তাদের মধ্যে এসব নৈতিকতা- মূল্যবোধ ও যুক্তিবোধ কাজ করছে কিনা এবং সকলে মোরা সবাইর তোরে হওয়ার জন্য গঠন করি এ্যালমনাই এসোসিয়েশন। ভর্তি, ফরম ফিলাপ করতে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের কান্না কিংবা হতাশাগ্রস্থ হওয়ার চিত্র দেখার পর তাদের ফরম ফিলাপ করানোর ব্যবস্থা একইসাথে পরীক্ষায় ভালো নম্বর প্রাপ্তদের নগদ আর্থিক সহযোগিতা দেওয়ার মধ্যদিয়ে সাবেক শিক্ষার্থীদের সহায়তায় ২টা ফান্ড গঠন করতে সক্ষম হই । এ ফান্ড থেকে প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থীরা উপকৃত হচ্ছেন। আমার নেওয়া উপরোক্ত কার্যক্রমে উদ্বৃত্ত হয়ে মূলত শিক্ষার্থীরা তাদের নিজস্ব উদ্যোগে এবং যুক্তিবিদ্যার প্রতি কৃতজ্ঞতাস্বরূপ তৈরী করে দিয়েছে Thanks Logic ওয়েবসাইটি। এ ওয়েবসাইট তৈরীতে যারা অবদান রেখেছে তাদের সকলকে আমাদের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। 


শরীফুর রহমান আদিল
প্রভাষক, দর্শন বিভাগ  
ফেনী সাউথ ইষ্ট ডিগ্রী কলেজ